হাইপারলুপ প্রযুক্তির এক গভীর বিশ্লেষণ, যা ভ্রমণ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা, বৈশ্বিক প্রতিযোগী এবং এর বাধাগুলো তুলে ধরে।
হাইপারলুপ: পরিবহনের উচ্চ-গতির ভবিষ্যৎ নাকি একটি সায়েন্স-ফিকশন স্বপ্ন?
ভাবুন তো, একটি শহরে মসৃণ পডে প্রবেশ করে আপনার পছন্দের অনুষ্ঠানের একটি পর্ব দেখার সময়েই শত শত কিলোমিটার দূরের অন্য শহরে পৌঁছে গেলেন। এটি কোনো ভবিষ্যৎ সিনেমার দৃশ্য নয়; এটি হাইপারলুপের প্রতিশ্রুতি, যা পরিবহনের পঞ্চম একটি প্রস্তাবিত মাধ্যম এবং যাত্রী ও পণ্যকে ১,১০০ কিমি/ঘণ্টার (৭০০ মাইল/ঘণ্টার বেশি) গতিতে চালিত করার লক্ষ্য রাখে। ইলন মাস্কের আধুনিক ধারণায় প্রথম উপস্থাপিত হাইপারলুপ বিশ্বজুড়ে প্রকৌশলী, বিনিয়োগকারী এবং সরকারগুলোর কল্পনাকে আকর্ষণ করেছে, যা বিমান, ট্রেন এবং গাড়ির চেয়ে একটি সবুজ, দ্রুত এবং আরও দক্ষ বিকল্পের প্রতিশ্রুতি দেয়।
কিন্তু এই বিপ্লবী ধারণাটি কি মানব গতিশীলতার অনিবার্য পরবর্তী পদক্ষেপ, নাকি এটি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যান্টাসি যা অatasiযোগ্য বাধার সম্মুখীন? এই নিবন্ধটি হাইপারলুপ প্রযুক্তি, এর অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা, প্রতিযোগিতায় থাকা মূল খেলোয়াড় এবং ভবিষ্যতের পথে থাকা বিশাল চ্যালেঞ্জগুলোর একটি বিশদ বৈশ্বিক চিত্র প্রদান করে।
হাইপারলুপ আসলে কী? ধারণাটির বিশ্লেষণ
এর মূলে, হাইপারলুপ হলো স্থল পরিবহনের একটি আমূল নতুন কল্পনা। যদিও টিউবের মাধ্যমে ভ্রমণের ধারণাটি নতুন নয়, মাস্কের ২০১৩ সালের "হাইপারলুপ আলফা" শ্বেতপত্রে জনপ্রিয় হওয়া আধুনিক ধারণাটি প্রচলিত ভ্রমণের গতি সীমিতকারী শারীরিক বাধাগুলো অতিক্রম করার জন্য বেশ কয়েকটি মূল প্রযুক্তিকে একত্রিত করে।
মূল নীতি: চুম্বক, ভ্যাকুয়াম এবং পড
হাইপারলুপ বুঝতে হলে, যানবাহনগুলোকে ধীর করে দেয় এমন দুটি প্রধান শক্তি বুঝতে হবে: ঘর্ষণ এবং বায়ু প্রতিরোধ। হাইপারলুপ প্রযুক্তি এই দুটিকেই কার্যত নির্মূল করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
- স্বল্প-চাপের পরিবেশ: এই সিস্টেমে একটি বড়, সিল করা টিউব বা টিউবের নেটওয়ার্ক থাকে, যেখান থেকে বেশিরভাগ বাতাস পাম্প করে বের করে দেওয়া হয়, যা প্রায়-ভ্যাকুয়াম পরিবেশ তৈরি করে। এটি বায়ু প্রতিরোধকে মারাত্মকভাবে হ্রাস করে, যা উচ্চ গতিতে যানবাহনের গতি সীমিত করার প্রধান কারণ। প্রায় ৯৯% বায়ু অপসারণ করে, সিস্টেমটি পডগুলোকে খুব কম বাধার সাথে ভ্রমণ করতে দেয়, অনেকটা উচ্চতায় থাকা বিমানের মতো, কিন্তু উড্ডয়নের জন্য ডানা ছাড়াই।
- চৌম্বকীয় উত্তোলন (ম্যাগলেভ): ট্র্যাকের উপর চাকার পরিবর্তে, যাত্রী বহনকারী পডগুলো শক্তিশালী চৌম্বকীয় শক্তি ব্যবহার করে ভেসে থাকার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ম্যাগলেভ নামে পরিচিত এই কৌশলটি পডকে গাইডওয়ে থেকে উপরে তুলে দেয়, যা পড এবং ট্র্যাকের মধ্যে ঘর্ষণ দূর করে। এটি সংস্পর্শজনিত ঘর্ষণের কারণে ন্যূনতম শক্তি ক্ষয়ের সাথে মসৃণ, শান্ত এবং অবিশ্বাস্যভাবে দ্রুত ভ্রমণ করতে দেয়। বিভিন্ন সংস্থা ম্যাগলেভের বিভিন্ন রূপ অন্বেষণ করছে, যার মধ্যে প্যাসিভ সিস্টেম রয়েছে যা পডের গতির মাধ্যমে উত্তোলন তৈরি করে এবং অ্যাক্টিভ সিস্টেম রয়েছে যার জন্য ট্র্যাক বরাবর চালিত ইলেক্ট্রোম্যাগনেট প্রয়োজন।
- স্বায়ত্তশাসিত পড: চাপযুক্ত পড বা ক্যাপসুলগুলো হবে সেই যানবাহন যা স্বল্প-চাপের টিউবগুলোর মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করবে। প্রতিটি পড একটি স্বায়ত্তশাসিত, বৈদ্যুতিক চালিত যান হবে, যা একে একে বা ছোট, ডিজিটালভাবে সংযুক্ত কনভয়ে চলবে। এটি একটি অন-ডিমান্ড, সরাসরি-গন্তব্যে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেয়, যা একাধিক স্টপ এবং নির্দিষ্ট সময়সূচী সহ দীর্ঘ ট্রেনের প্রয়োজনীয়তা দূর করে।
একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: ধারণা থেকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা পর্যন্ত
একটি "ভ্যাকট্রেন" (ভ্যাকুয়াম টিউব ট্রেন) এর ধারণাটি এক শতাব্দীরও বেশি পুরানো, যার প্রাথমিক পেটেন্ট এবং ধারণাগুলো আধুনিক রকেটবিদ্যার জনক রবার্ট গডার্ডের মতো স্বপ্নদর্শীদের কাছ থেকে এসেছিল। তবে, প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে ধারণাটি মূলত তাত্ত্বিকই থেকে গিয়েছিল।
হাইপারলুপের আধুনিক যুগটি ২০১৩ সালে জ্বলে ওঠে যখন স্পেসএক্স এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক তার বিস্তারিত ৫৭-পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রটি প্রকাশ করেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রস্তাবিত উচ্চ-গতির রেল পরিকল্পনায় অসন্তুষ্ট হয়ে, তিনি একটি দ্রুত, আরও দক্ষ এবং সম্ভাব্য সস্তা বিকল্পের রূপরেখা দেন। গুরুত্বপূর্ণভাবে, মাস্ক ধারণাটিকে ওপেন-সোর্স করেন, যা বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবক, প্রকৌশলী এবং উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিটি বিকাশের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। এই একটি পদক্ষেপ হাইপারলুপকে একটি একক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করে, যা অসংখ্য স্টার্টআপ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দলকে জন্ম দিয়েছে, সকলেই এটিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য প্রথম হতে প্রতিযোগিতা করছে। পরবর্তী স্পেসএক্স হাইপারলুপ পড প্রতিযোগিতা (২০১৫-২০১৯) এই প্রতিযোগিতামূলক উদ্ভাবনকে আরও উস্কে দিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী ছাত্র দলগুলোর বিভিন্ন প্রকৌশল পদ্ধতির একটি বিন্যাস প্রদর্শন করে।
প্রতিশ্রুত বিপ্লব: হাইপারলুপ কী অর্জন করতে চায়
হাইপারলুপের আকর্ষণ কেবল গতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি সময়, দূরত্ব এবং স্থায়িত্ব সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনার একটি মৌলিক পরিবর্তন। এর সম্ভাব্য সুবিধাগুলো অর্থনীতি এবং সমাজকে নতুন আকার দিতে পারে।
অভাবনীয় গতি এবং সময় সাশ্রয়
এর প্রধান প্রতিশ্রুতি হলো, অবশ্যই, গতি। ১,১০০ কিমি/ঘণ্টার বেশি তাত্ত্বিক শীর্ষ গতিতে, হাইপারলুপ শহরগুলোকে ঘণ্টার পরিবর্তে মিনিটে সংযুক্ত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, দুবাই থেকে আবু ধাবি পর্যন্ত যাত্রা গাড়িতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগার পরিবর্তে মাত্র ১২ মিনিট সময় নিতে পারে। এই "সময় সংকোচন" যাতায়াতযোগ্য দূরত্বের সংজ্ঞা নতুন করে দেয়, যা সমগ্র অঞ্চলকে আন্তঃসংযুক্ত মেট্রোপলিটন এলাকায় পরিণত করে। সময় সাশ্রয় কেবল যাত্রাপথে নয়; শহরের কেন্দ্রস্থলে টার্মিনাল স্থাপন করে, হাইপারলুপ দীর্ঘ চেক-ইন প্রক্রিয়া এবং শহরের বাইরের বিমানবন্দরে যাতায়াতের সময় দূর করার লক্ষ্য রাখে, যা দরজা-থেকে-দরজা যাত্রার সময়কে নাটকীয়ভাবে হ্রাস করে।
শক্তি দক্ষতা এবং টেকসই উন্নয়ন
জলবায়ু সংকটের যুগে, হাইপারলুপের পরিবেশগত যোগ্যতা একটি বড় আকর্ষণ। স্বল্প-টানের পরিবেশে কাজ করার মাধ্যমে, পডগুলো উচ্চ গতি বজায় রাখার জন্য বিমান বা উচ্চ-গতির ট্রেনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম শক্তির প্রয়োজন হয়। পুরো সিস্টেমটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেখানে টিউবগুলো সোলার প্যানেলে আবৃত করার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সিস্টেমটিকে তার ব্যবহারের চেয়ে বেশি শক্তি উৎপাদন করতে দেয়। এটি একটি কার্বন-মুক্ত গণপরিবহন ব্যবস্থা তৈরি করবে, যা বিশ্বব্যাপী টেকসই শহুরে এবং আন্তঃ-শহর পরিকল্পনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।
আবহাওয়া থেকে সুরক্ষা এবং নির্ভরযোগ্যতা
বিমান, ট্রেন এবং সড়ক ট্র্যাফিক সবই আবহাওয়ার দয়ার উপর নির্ভরশীল। ঝড়, তুষারপাত, কুয়াশা এবং উচ্চ বাতাস ব্যাপক বিলম্ব এবং বাতিলকরণের কারণ হতে পারে, যা অর্থনীতিতে বার্ষিক বিলিয়ন ডলার খরচ করে। যেহেতু হাইপারলুপ একটি নিয়ন্ত্রিত, আবদ্ধ পরিবেশে কাজ করে, তাই এটি বাহ্যিক আবহাওয়ার পরিস্থিতি থেকে মুক্ত। এটি একটি এমন স্তরের নির্ভরযোগ্যতা এবং পূর্বাভাসযোগ্যতা প্রদান করে যা আধুনিক পরিবহনে অতুলনীয়, যা নিশ্চিত করে যে পরিষেবাগুলো বছরে ৩৬৫ দিন, ২৪/৭ সময়সূচী অনুযায়ী চলতে পারে।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক রূপান্তর
এর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ব্যাপক। প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোকে এত দক্ষতার সাথে সংযুক্ত করে, হাইপারলুপ "মেগা-অঞ্চল" তৈরি করতে পারে, শ্রম বাজার প্রসারিত করতে পারে এবং মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যের এলাকায় বাস করার সুযোগ দিতে পারে যখন তারা প্রধান শহরগুলিতে কাজ করে। এটি শহুরে আবাসন সংকট কমাতে পারে এবং আরও ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে পারে। লজিস্টিকসের জন্য, একটি কার্গো-কেন্দ্রিক হাইপারলুপ সাপ্লাই চেইনে বিপ্লব ঘটাতে পারে, যা উচ্চ-মূল্যের পণ্যগুলির জাস্ট-ইন-টাইম ডেলিভারি অভূতপূর্ব গতিতে সক্ষম করে, বিশ্ব বাণিজ্যকে দ্রুত এবং আরও দক্ষ করে তোলে।
পথের বাধা: হাইপারলুপের মুখোমুখি বড় চ্যালেঞ্জ
এর ইউটোপিয়ান প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, একটি কার্যকরী হাইপারলুপ নেটওয়ার্কের পথটি বিশাল চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। সমালোচকরা যুক্তি দেন যে এই বাধাগুলো—প্রযুক্তিগত, আর্থিক এবং নিয়ন্ত্রক—এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ যে তারা ধারণাটিকে অবাস্তব করে তুলতে পারে।
প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা এবং পরিমাপযোগ্যতা
হাইপারলুপের জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিনিয়ারিং এমন এক মাত্রার যা আগে কখনও চেষ্টা করা হয়নি।
- ভ্যাকুয়াম বজায় রাখা: শত শত কিলোমিটার দীর্ঘ একটি টিউব জুড়ে প্রায়-ভ্যাকুয়াম তৈরি এবং বজায় রাখা একটি বিশাল কাজ। ছিদ্র রোধ করার জন্য সিস্টেমটিকে নিখুঁতভাবে সিল করতে হবে এবং শক্তিশালী ভ্যাকুয়াম পাম্পের ক্রমাগত প্রয়োজন হবে। একটিমাত্র ছিদ্রও বিপর্যয়কর হতে পারে।
- তাপীয় প্রসারণ: পরিবর্তনশীল তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকা একটি দীর্ঘ ইস্পাতের টিউব প্রসারিত এবং সংকুচিত হবে। টিউবটি যাতে পুরোপুরি সারিবদ্ধ থাকে এবং বেঁকে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য এই শক্তিগুলো পরিচালনা করা একটি জটিল ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা, যার জন্য অত্যাধুনিক প্রসারণ জয়েন্ট এবং সাপোর্ট স্ট্রাকচার প্রয়োজন।
- পয়েন্টিং-রবার্টসন এফেক্ট: প্রায়-ভ্যাকুয়াম পরিবেশেও, এত উচ্চ গতিতে ভ্রমণকারী একটি পড তার সামনের পাতলা বাতাসকে সংকুচিত করবে, যা একটি উচ্চ-চাপের বায়ু কুশন তৈরি করবে। মাস্কের মূল ধারণায় এই বাতাসকে বাইপাস করার জন্য একটি অনবোর্ড কম্প্রেসার প্রস্তাব করা হয়েছিল, তবে এটি দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা একটি উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে।
- সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা: এমন একটি সিস্টেমের জন্য যেখানে পডগুলো প্রায় সুপারসনিক গতিতে ভ্রমণ করে, যেকোনো ত্রুটি বিধ্বংসী পরিণতি ঘটাতে পারে। প্রপালশন, লেভিটেশন এবং লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের জন্য প্রয়োজনীয় নির্ভরযোগ্যতার স্তরটি যেকোনো বিদ্যমান পরিবহন ব্যবস্থার চেয়ে অনেক বেশি।
বিশাল ব্যয় এবং অর্থায়ন
সম্পূর্ণ নতুন পরিকাঠামো নির্মাণ অবিশ্বাস্যভাবে ব্যয়বহুল। হাইপারলুপ রুটের জন্য প্রাথমিক ব্যয়ের অনুমান প্রতি কিলোমিটারে কয়েক মিলিয়ন থেকে একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। এর মধ্যে রয়েছে টিউব তৈরির খরচ, বিশাল জমির অধিগ্রহণ (রাইট-অফ-ওয়ে), পাইলন বা টানেল নির্মাণ, এবং বিদ্যুৎ পরিকাঠামো ও স্টেশন নির্মাণ। এমন একটি বিশাল, অপ্রমাণিত প্রযুক্তির জন্য তহবিল সুরক্ষিত করা একটি প্রাথমিক বাধা। বেশিরভাগ প্রকল্পের জন্য সম্ভবত জটিল সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রয়োজন হবে, কিন্তু সরকারগুলো উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ উদ্যোগে করদাতাদের অর্থ বিনিয়োগ করতে দ্বিধা বোধ করতে পারে যখন উচ্চ-গতির রেলের মতো প্রমাণিত প্রযুক্তি বিদ্যমান।
নিরাপত্তা এবং যাত্রী অভিজ্ঞতা
যাত্রী নিরাপত্তা একক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়। বিদ্যুৎ বিভ্রাট, পড বিকল হওয়া বা একটি সিল করা টিউবের মাঝখানে কাঠামোগত ছিদ্রের ক্ষেত্রে একটি পডকে কীভাবে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে? জরুরি পরিকল্পনা অবশ্যই নির্ভুল হতে হবে। উপরন্তু, যাত্রী অভিজ্ঞতা নিজেই চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে। উচ্চ গতিতে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্য জি-ফোর্স তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে বাঁকগুলিতে। সিস্টেমটিকে খুব মৃদু, বড়-ব্যাসার্ধের বাঁক দিয়ে ডিজাইন করতে হবে, যা জমি অধিগ্রহণকে আরও জটিল করে তোলে। যাত্রীরা একটি জানালাবিহীন ক্যাপসুলে থাকবে, যা ক্লস্ট্রোফোবিয়া বা মোশন সিকনেস তৈরি করতে পারে। একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা জনসাধারণের গ্রহণযোগ্যতার জন্য অপরিহার্য।
নিয়ন্ত্রক এবং রাজনৈতিক বাধা
হাইপারলুপ এতটাই নতুন যে বিশ্বের কোথাও এর জন্য কোনো নিয়ন্ত্রক কাঠামো বিদ্যমান নেই। সরকারগুলোকে এর নির্মাণ, পরিচালনা এবং সার্টিফিকেশন কভার করার জন্য সম্পূর্ণ নতুন আইন এবং সুরক্ষা মান তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক রুটের জন্য, যেমন স্পেন এবং ফ্রান্স বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মধ্যে একটি সম্ভাব্য সংযোগ, মানগুলোকে সীমান্ত জুড়ে সমন্বয় করতে হবে, একটি প্রক্রিয়া যা প্রায়শই ধীর এবং রাজনৈতিক জটিলতায় পরিপূর্ণ। জনবহুল বা পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকার মধ্য দিয়ে রুটের অনুমোদন এবং রাইট-অফ-ওয়ে সুরক্ষিত করার জন্য রাজনৈতিক ইচ্ছা অর্জন করা আরেকটি বিশাল রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা: কারা পরিবহনের ভবিষ্যৎ তৈরি করছে?
চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, কোম্পানি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একটি বিশ্বব্যাপী ইকোসিস্টেম হাইপারলুপকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। পরিস্থিতিটি গতিশীল, কিছু প্রতিযোগী স্থির অগ্রগতি করছে এবং অন্যরা হোঁচট খেয়েছে।
পথপ্রদর্শক এবং পরিবর্তিত কৌশল
সম্ভবত সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতিযোগী ছিল হাইপারলুপ ওয়ান (পূর্বে ভার্জিন হাইপারলুপ)। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় একটি পূর্ণ-স্কেল পরীক্ষা ট্র্যাক নির্মাণকারী প্রথম কোম্পানি ছিল এবং ২০২০ সালে, বিশ্বের প্রথম যাত্রী পরীক্ষা পরিচালনা করে। যাইহোক, যাত্রী পরিবহনের জন্য শিল্পের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি উল্লেখযোগ্য আঘাত হিসাবে, কোম্পানিটি ২০২২ সালের শুরুতে তার অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করে, শুধুমাত্র কার্গোতে ফোকাস করার জন্য পিভট করে এবং অবশেষে ২০২৩ সালের শেষে তার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়, তার সম্পদ বিক্রি করে। এই ঘটনাটি যাত্রী-ভিত্তিক সিস্টেম অনুসরণের 엄청 আর্থিক এবং ব্যবহারিক অসুবিধাগুলো তুলে ধরে।
এই ক্ষেত্রের বর্তমান নেতারা
হাইপারলুপ ওয়ানের প্রস্থানের সাথে, অন্যান্য কোম্পানিগুলো পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছে:
- হার্ডট হাইপারলুপ (নেদারল্যান্ডস): নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত, হার্ডট ইউরোপের একটি প্রধান প্রতিযোগী। তারা একটি নিম্ন-গতির পরীক্ষা সুবিধা তৈরি করেছে এবং গ্রোনিনজেনে ইউরোপীয় হাইপারলুপ সেন্টার বিকাশের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, যেখানে যানবাহন এবং পরিকাঠামো উভয়ের উচ্চ-গতির পরীক্ষার জন্য একটি ২.৬-কিলোমিটার পরীক্ষা ট্র্যাক থাকবে। তাদের লক্ষ্য একটি প্রমিত ইউরোপীয় নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
- ট্রান্সপড (কানাডা): এই কানাডিয়ান কোম্পানিটি বেশ কয়েকটি অনন্য প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য সহ একটি সিস্টেম তৈরি করছে। তারা কানাডার আলবার্টায় ক্যালগারি এবং এডমন্টনকে সংযোগকারী একটি রুট সক্রিয়ভাবে অনুসরণ করছে। ২০২২ সালে, তারা প্রাথমিক তহবিল সুরক্ষিত করে এবং তাদের "ফ্লাক্সজেট" গাড়ির জন্য পরিকল্পনা প্রকাশ করে, যা তারা একটি বিমান এবং একটি ট্রেনের মধ্যে একটি হাইব্রিড হিসাবে বর্ণনা করে।
- জেলেরোস হাইপারলুপ (স্পেন): স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া থেকে আগত, জেলেরোস এমন একটি সিস্টেম তৈরি করছে যা ট্র্যাকের চেয়ে গাড়ির মধ্যে আরও জটিল প্রযুক্তি স্থাপন করে, যা তাদের যুক্তি অনুসারে পরিকাঠামোর খরচ কমাতে পারে। তারা ইউরোপীয় মানসম্মতকরণ প্রচেষ্টায় ব্যাপকভাবে জড়িত এবং স্পেনে একটি পরীক্ষা ট্র্যাক রয়েছে।
- হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলজিস (হাইপারলুপটিটি): মূল প্রতিযোগীদের মধ্যে অন্যতম, হাইপারলুপটিটির একটি বিশ্বব্যাপী, সহযোগিতামূলক মডেল রয়েছে। তাদের ফ্রান্সের টুলুজে একটি পূর্ণ-স্কেল পরীক্ষা ট্র্যাক রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেট লেকস অঞ্চল সহ বিভিন্ন স্থানে সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
বিশ্বজুড়ে প্রকল্প এবং সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন
হাইপারলুপের প্রতি আগ্রহ বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত, যেখানে অসংখ্য সরকার এবং অঞ্চল এর সম্ভাবনা অন্বেষণ করছে:
- ইউরোপ: ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি সমন্বিত পদ্ধতি গ্রহণ করছে, একটি সম্ভাব্য প্যান-ইউরোপীয় নেটওয়ার্কের জন্য আন্তঃকার্যক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য গবেষণা এবং মানসম্মতকরণ প্রচেষ্টায় অর্থায়ন করছে। ইতালি এবং নেদারল্যান্ডস সক্রিয় পরীক্ষা কেন্দ্র উন্নয়নের সাথে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
- ভারত: ভারত উল্লেখযোগ্য আগ্রহ দেখিয়েছে, বিশেষ করে উচ্চ-ট্র্যাফিকের মুম্বাই থেকে পুনে করিডোরের জন্য। যদিও ভার্জিন হাইপারলুপের সাথে প্রাথমিক পরিকল্পনা থেমে গেছে, ভারতের পরিবহন চ্যালেঞ্জ সমাধানের জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়ে গেছে।
- চীন: যদিও কঠোরভাবে "হাইপারলুপ" ব্র্যান্ড ব্যবহার করছে না, চীন ম্যাগলেভ প্রযুক্তিতে বিশ্বনেতা এবং তার নিজস্ব খুব-উচ্চ-গতির টিউব পরিবহন ব্যবস্থা তৈরি করছে। একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা, CASIC, একটি পরীক্ষা লাইন তৈরি করছে এবং ১,০০০ কিমি/ঘণ্টার সিস্টেমের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করেছে। চীনের বিশাল পরিকাঠামো প্রকল্পের ট্র্যাক রেকর্ড বিবেচনা করে, তাদের অগ্রগতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
- মধ্যপ্রাচ্য: সংযুক্ত আরব আমিরাত, বিশেষ করে দুবাই, হাইপারলুপের একজন প্রাথমিক এবং উত্সাহী সমর্থক ছিল। দুবাই-আবু ধাবি রুটের জন্য সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন প্রথম পরিচালিত হয়েছিল, এবং যদিও কোনো নির্মাণ শুরু হয়নি, এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির উপর ফোকাস এটিকে একটি ভবিষ্যৎ হাইপারলুপ প্রকল্পের জন্য প্রধান প্রার্থী করে রেখেছে।
হাইপারলুপ বনাম প্রতিযোগিতা: একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ
বিদ্যমান এবং উদীয়মান পরিবহন মাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে হাইপারলুপ কেমন?
হাইপারলুপ বনাম উচ্চ-গতির রেল (HSR)
HSR আন্তঃ-শহর ভ্রমণের জন্য হাইপারলুপের সবচেয়ে সরাসরি প্রতিযোগী। HSR একটি পরিপক্ক, প্রমাণিত প্রযুক্তি যা ইউরোপ এবং এশিয়ায় দশক ধরে সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যদিও HSR-এর সর্বোচ্চ গতি (প্রায় ৩৫০ কিমি/ঘণ্টা) হাইপারলুপের তাত্ত্বিক গতির চেয়ে অনেক কম, তবে এটি প্রতি ঘণ্টায় হাজার হাজার যাত্রী পরিবহনের প্রমাণিত ক্ষমতা রাখে। হাইপারলুপের পড-ভিত্তিক সিস্টেম এই থ্রুপুট মেলাতে সংগ্রাম করতে পারে। প্রাথমিক যুদ্ধক্ষেত্র হল খরচ: যদিও প্রবক্তারা দাবি করেন যে হাইপারলুপ HSR-এর চেয়ে নির্মাণ এবং পরিচালনায় সস্তা হতে পারে, সমালোচকরা যুক্তি দেন যে প্রযুক্তিগত জটিলতা এটিকে অনেক বেশি ব্যয়বহুল করে তুলবে। HSR-এর বিদ্যমান শহরের রেল হাবগুলোর সাথে আরও সহজে একীভূত হওয়ার সুবিধাও রয়েছে।
হাইপারলুপ বনাম বিমান ভ্রমণ
৪০০ থেকে ১,৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য, হাইপারলুপ সরাসরি স্বল্প-পাল্লার ফ্লাইটের সাথে প্রতিযোগিতা করে। যদিও একটি বিমানের ক্রুজিং গতি বেশি (৮০০-৯০০ কিমি/ঘণ্টা), শহরের বাইরের বিমানবন্দরে যাতায়াত, নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং বোর্ডিং পদ্ধতির কারণে মোট ডোর-টু-ডোর যাত্রার সময় উল্লেখযোগ্যভাবে দীর্ঘ। হাইপারলুপ, তার শহর-কেন্দ্রিক টার্মিনাল এবং অন-ডিমান্ড প্রকৃতির সাথে, সামগ্রিকভাবে অনেক দ্রুত হতে পারে। এখানে হাইপারলুপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল স্থায়িত্ব। বিমান ভ্রমণ কার্বন নির্গমনের একটি উল্লেখযোগ্য এবং ক্রমবর্ধমান উৎস, যেখানে একটি বৈদ্যুতিক চালিত, সৌর-বর্ধিত হাইপারলুপ সিস্টেম অনেক বেশি পরিষ্কার হবে।
ভবিষ্যৎ 전망: হাইপারলুপ কি অনিবার্য নাকি একটি বিভ্রম?
হাইপারলুপের যাত্রাটি বিশাল হাইপের একটি, যা পরে বাস্তবতার একটি sobering ডোজ দ্বারা অনুসরণ করা হয়েছে। ২০২০-এর দশকের গোড়ার দিকে শহরগুলোর মধ্যে ছুটে চলার প্রাথমিক দৃষ্টিভঙ্গিটি একটি আরও বাস্তবসম্মত, দীর্ঘমেয়াদী সময়রেখায় পরিণত হয়েছে।
স্বল্পমেয়াদী বাস্তবতা: প্রথমে কার্গো
হাইপারলুপ ওয়ানের বন্ধ হওয়ার আগে কার্গোতে পিভট করাটা তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। অনেক বিশেষজ্ঞ এখন বিশ্বাস করেন যে হাইপারলুপ প্রযুক্তির জন্য সবচেয়ে কার্যকর প্রথম প্রয়োগ হবে লজিস্টিকসে। মানুষের পরিবর্তে কার্গো প্যালেট পরিবহন ঝুঁকি নাটকীয়ভাবে হ্রাস করে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সহজ করে তোলে। কোনো লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের প্রয়োজন নেই, এবং নিরাপত্তা ও আরামের প্রয়োজনীয়তা অনেক কম কঠোর। একটি সফল কার্গো নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিটি প্রমাণ করতে পারে এবং যাত্রী সিস্টেমের আরও জটিল উন্নয়নের জন্য তহবিল তৈরি করতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি: একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক?
হাইপারলুপ টিউবগুলোর একটি নির্বিঘ্নে সংযুক্ত বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কের চূড়ান্ত স্বপ্ন একটি দূরবর্তী, দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি হিসাবে রয়ে গেছে। এর জন্য নজিরবিহীন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, মানসম্মতকরণ এবং বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। যদি প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক বাধাগুলো অতিক্রম করা যায়, তবে এটি আমাদের বিশ্বকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করতে পারে, যা একটি নতুন গতির যুগের সূচনা করবে যেখানে দূরত্ব আর কাজ, সংস্কৃতি বা মানব সংযোগের প্রাথমিক বাধা থাকবে না।
উপসংহার: হাজার মাইলের যাত্রা...
হাইপারলুপ একটি মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটি একটি শ্বাসরুদ্ধকর উচ্চাকাঙ্ক্ষার ধারণা যা আধুনিক প্রকৌশলের সীমাকে ঠেলে দেয়। সামনের পথটি এমন বিশাল চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ যে ব্যর্থতা একটি স্বতন্ত্র সম্ভাবনা হিসাবে রয়ে গেছে। হাইপারলুপ ওয়ানের বন্ধ হওয়া একটি উজ্জ্বল ধারণা এবং একটি বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর পণ্যের মধ্যেকার ব্যবধানের একটি কঠোর অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।
তবে, এটিকে পুরোপুরি খারিজ করা হবে মানব উদ্ভাবনের শক্তিকে উপেক্ষা করা। হাইপারলুপ বিকাশের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা ইতিমধ্যে ফল দিচ্ছে, চুম্বকত্ব, পদার্থ বিজ্ঞান এবং টানেলিং প্রযুক্তিতে অগ্রগতি চালাচ্ছে যা টিউব ভ্রমণের বাইরেও অনেক অ্যাপ্লিকেশন পাবে। ভবিষ্যতে আমরা লেভিটেটিং পডে ভ্রমণ করি বা না করি, হাইপারলুপের অন্বেষণ আমাদের একবিংশ শতাব্দীতে এবং তার পরেও আমরা কীভাবে বাঁচতে এবং চলতে চাই সে সম্পর্কে সাহসী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য করছে। যাত্রা দীর্ঘ এবং অনিশ্চিত হতে পারে, কিন্তু এটি এমন একটি যাত্রা যা একদিন সবকিছু পরিবর্তন করে দিতে পারে।